কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দেশে ফিরে আইনের হেফাজতে থেকে যেন পি কে হালদার পাওনাদারদের টাকা পরিশোধে সহযোগিতা করতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে পি কে হালদারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। অপরদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে পি কে হালদার দেশে ফিরতে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আগামী ২৫ অক্টোবর দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। এর আগে, আত্মসাতের টাকা উদ্ধার করে দিতে দেশে ফেরার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন পি কে হালদার। দেশে ফিরে আদালতের হেফাজতে থাকার অনুমতি চেয়ে পি কে হালদারের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কোম্পানি (আইএলএফএসএল)।
গত ২১ জানুয়ারি তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পি কে হালদারসহ ১৯ জনের সব সম্পদ, ব্যাংক হিসাব জব্দ ও পাসপোর্ট আটকানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সময় গোপনে কানাডায় পাড়ি জমান তিনি। এরপর দীর্ঘদিন সেখানে অবস্থান শেষে পিকে হালদার দেশে ফিরতে চান। সেই আবেদনে বলা হয়, পিকে হালদার দেশে ফেরার জন্য নিরাপত্তা চান। বিনিয়োগকারীদের অর্থ পরিশোধ করতেই তার এই উদ্যোগ বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।