পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা !

Posted on June 4, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রায় প্রতি বছরই সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদুল আজহার এক মাস আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী। এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি একশ টাকা।

মাত্র দেড়মাস আগে রমজানে এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। সবশেষ দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদ সামনে রেখে অসাধু বিক্রেতারা পেঁয়াজ নিয়ে সিন্ডিকেট করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, মূলত ভারত থেকে আমদানি না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে আসন্ন কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজের আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে পরদিন ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে দাম বাড়তে থাকে পেয়াজের।

রোববার (৪ জুন) রাজধানীর শান্তিনগর, ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও বাজার এবং বাসাবো এলাকার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি কিং) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়া দেশি (পাবনা) বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। দেশি ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

পেঁয়াজ কিনতে খিলগাঁও বাজারে এসেছেন সায়রা খাতুন। দুইদিন আগেও তিনি ৮৫ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ কিনেছেন, আজ ৯৫ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। সায়রা বলেন, দুইদিনের ব্যবধানে কীভাবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে যায়?

একই কথা জানান আরেক ক্রেতা ফাতেমা আক্তার। তিনি বলেন, রোজায় ৩৫ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি, এখন দাম প্রায় তিনগুণ। এখনই সরকারিভাবে অভিযান পরিচালনা করে পেঁয়াজ মজুতদারদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। এটা না হলে কোরবানি আসতে আসতে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কেনা লাগবে।

মালিবাগ রেলগেট বাজারের খুচরা বিক্রেতা উজ্জল হোসেন বলেন, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে, আমদানির মাধ্যমে তা মেটানো হয়। ফলে আমদানি বন্ধের পর দাম ধীরে ধীরে পাইকারিতে বাড়তে থাকে। এখন আমদানি উন্মুক্ত হলে দাম আবারও কমে আসতে পারে।