লোকসানি কোম্পানি হয়েও গেইনার তালিকার ২য় স্থানে মেষনা ইন্সুরেন্স

Posted on May 30, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে লোকসানি ও বন্ধ থাকা কোম্পানির দাম বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৯ মে) টপটেন গেইনার তালিকার ২য় স্থানে থাকা এমনই এক কোম্পানি মেঘনা ইন্সুরেন্স। বীমা খাতের এই কোম্পানিটি একটি লোকসানি কোম্পানি। বি ক্যাটাগরির এ কোম্পানির লোকসানের পরিমান ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

গতকাল (২৯ মে) তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৪ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারটি সর্বশেষ ৫৪ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। কোম্পানিটি ৬ হাজার ৩৯৮ বারে ২৩ লাখ ৯৭ হাজার ১৩৫ টি শেয়ার লেনদেন করেছে। যার বাজার মূল্য ১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

গত ১৪ মে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ৩০ টাকা। আর ২৯ মে শেয়ারটির দর বেড়ে ৫৪ টাকা ১০ পয়সায় উন্নীত হয়। অর্থাৎ ১২ কার্যদিবসে শেয়ার টির দর বেড়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সা বা ৮০ শতাংশ। যদিও এই দর বাড়কে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকেও কোন নোটিস পাঠায়নি।

জানুয়ারী-মার্চ২৩ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৮ পয়সা। আগরে বছর একই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৬ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ২৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২১ পয়সা।

কোম্পানিটির ডেভিডেন্ড ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় কোম্পানিটি ২০২১ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে এবং ২০২২ সালে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবৃতির উপর ভিত্তি করে মূল্য আয় (P/E) অনুপাত বা পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৫.৩৭ এবং নিরীক্ষিত সর্বশেষ পিই রেশিও ১০৬.০৮।

ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (এনসিআর) কোম্পানিটিকে দীর্ঘ মেয়াদে “এএ” এবং স্বল্পমেয়াদে “এসটি-২” রেটিং প্রদান করেছে। কোম্পানিটিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এ রেটিং প্রদান করেছে।

২০২২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির অনুমোদিত মুলধনের পরিমান ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মুলধনের পরিমান ৪০ কোটি টাকা। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের ফেসভ্যালু ১০ টাকা এবং ১ টি শেয়ারে মার্কেট লট। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার।