চীনে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, আক্রান্ত ছড়াতে পারে সাড়ে ৬ কোটি

Posted on May 27, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে করোনাভাইরাস আবারও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় টিকাদান বাড়ানোর কথা ভাবছে চীনের প্রশাসন। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট জুন মাসে শীর্ষে পৌঁছাতে পারে এবং সপ্তাহে সাড়ে ৬ কোটি করে সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ‌‘এক্সবিবি’ ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত বছর চীন ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টটি ইমিউন সিস্টেমকে দমন করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত শীতে চীন কঠোর জিরো-কোভিড নীতি পরিত্যাগ করার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বড় তরঙ্গ হতে পারে। যদিও চীনের সরকারী সূত্র দাবি করছে, সাম্প্রতিক উত্থান সেই অর্থে মারাত্মক হবে না।

তবে, দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনায় বয়স্কদের মৃত্যু ঠেকাতে টিকাদান কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতেও অ্যান্টিভাইরাস সরবরাহ করা প্রয়োজন। সূত্র : এনডিটিভি।

এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘নতুন ধরন এক্সবিবি হলো ওমিক্রনের উপধরন। পাশের দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।

আমরা দেখেছি, গত তিন বছরে ইনফ্লুয়েঞ্জার মৌসুমে কভিডও বাড়ে। সেই হিসাবে মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে সর্বোচ্চ কভিড রোগী শনাক্ত হয় জুন-জুলাইয়ে। এবারও তা-ই হবে বলে মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা বাড়লেও হাসপাতালে রোগী খুব বেশি বাড়বে না। তবে ঝুঁকিতে থাকবেন বয়স্করা, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এ জন্য মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং হাত ধোয়ার প্রবণতা বাড়াতে হবে। জনসমাগম রয়েছে, এমন জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের পর এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের তাড়াহুড়ো করতে হয়েছিল। প্রায় তিন বছর পর পৃথিবী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। তবে বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে পরবর্তী মহামারী নিয়ে উদ্বিগ্ন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সাম্প্রতিক একটি সতর্কবার্তা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে জানান, পুরো বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যা করোনার চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে।

২০১৯ সালে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের পর এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিজ্ঞানীদের তাড়াহুড়ো করতে হয়েছিল।