মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় 'এমআরটি পুলিশ' গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি

Posted on May 24, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় মেট্রো পুলিশ ইউনিট বা এমআরটি পুলিশ গঠন চূড়ান্ত করেছে সরকার। ইউনিটটি গঠনে একজন উপমহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে ২৩১ জনের জনবল চূড়ান্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-৩ শাখা থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমআরটি মেট্রোরেল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি ক্যাডার পদ ও ২২৮টি নন-ক্যাডার পদসহ মোট ২৩১টি পদ সৃজন এবং ১৫টি যানবাহন টিওঅ্যান্ডইভুক্তকরণ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কাজের জন্য পদ: একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার, দুজন পরিদর্শক, একজন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), একজন ইন্সপেক্টর (সশস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (সশস্ত্র), তিনজন এএসআই (নিরস্ত্র), চারজন এএসআই (সশস্ত্র), পাঁচজন নায়েক, ১০ জন কনস্টেবল, একজন কম্পিউটার অপারেটর, একজন হিসাব রক্ষক, একজন উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক দুজন।

এমআরটি লাইন-৬ এর জন্য পদ: একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ছয়জন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র), দুজন এসআই (নিরস্ত্র), ৩৪ জন এএসআই (নিরস্ত্র) ও ১৫৩ জন কনস্টেবল।

যানবাহনের বিবরণ: একটি জিপ, ৪টি পিক-আপ ও ১০টি মোটরসাইকেল।

জানা যায়, সার্বিক দিক বিবেচনায় মেট্রোরেল ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মেট্রোরেলের জন্যও আলাদা ইউনিট গঠনের প্রস্তাব ছিল শুরু থেকেই। রেলওয়ে পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের একটি অন্যতম প্রাচীন বিশেষায়িত ইউনিট। এটি ১৮৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ তার অধিক্ষেত্রে জেলা পুলিশের মতোই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, তদন্ত ও অন্যান্য পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এমআরটি পুলিশও অনুরূপভাবে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ম-শৃঙ্খলা ও অপরাধ দমনে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন চালুর মাধ্যমে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর একে একে আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত সবগুলো স্টেশন খুলে দেওয়া হয়। মেট্রোরেল চালু হওয়ার শুরু থেকেই এর নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন কর্তৃপক্ষ। মাসখানেক আগে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া ঢিলে মেট্রোরেলের জানালার কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় উদ্বেগ আরও ঘনীভূত হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের এখনো আইনের আওতায় আনতে পারেনি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকারের হাইকমান্ড। যে কোনো উপায়ে দুর্বৃত্তদের ধরতে বলা হয়েছে।