ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ ১১০০

Posted on May 24, 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তীব্র গরমে অতিষ্ঠ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেখানকার প্রায় বেশিরভাগ এলাকাতেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। আর তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বহু মানুষ।

শুধুমাত্র মঙ্গলবারই গাজিয়াবাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১১০০ মানুষ চিকিৎসা নিতে গেছে। তাদের মধ্যে শতাধিক মানুষের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাদের ভর্তি করানো হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও হিট স্ট্রোক, ডায়েরিয়া, সান স্ট্রোকের রোগীর চাপ বাড়ছে।

উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানসহ বিস্তীর্ণ উত্তর ভারতে দাপট দেখাচ্ছে সূর্য। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত মানুষের। মঙ্গলবার পরিস্থিতি এমন হয় যে গাজিয়াবাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে হিট স্ট্রোক এবং ডায়েরিয়ার সমস্যা নিয়ে রোগীদের ভিড় করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়।

চিকিৎসকরা বলছেন, শরীর যখন অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং সেই তাপ দেহ থেকে বেরোতে পারে না, তখন হিট স্ট্রোক হয়। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও তা না কমলে দৈহিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, হতে পারে মৃত্যুও। এই তাপপ্রবাহে মানুষের হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মঙ্গলবার (২৪ মে) সারাদিনে ১১০০ মানুষ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে সরকারি হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে ১১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। বেসরকারি হাসপাতালেও একই চিত্র দেখা গেছে।

গাজিয়াবাদের সরকারির হাসপাতালগুলোতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই এমন রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। অনেকেই এসে হাসপাতালে রোগী দেখানোর লাইনে অপেক্ষা করতে করতেই জ্ঞান হারান। তখন তাদের তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, গাজিয়াবাদের বিভিন্ন রাস্তার জংশনে পানির ট্যাঙ্ক রাখা হয়েছে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানুষকে খাওয়ার পানি সরবরাহ করছে। তবুও অসুস্থ হয়ে পড়া আটকানো যাচ্ছে না। প্রশাসন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে। কিন্তু একান্ত প্রয়োজনে যারা বাইরে যাচ্ছেন, তারাই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আরকে সিং সতর্কতা জারি করেছেন। সেখানে মানুষকে পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা