কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীকে মারধর করলেন এএসআই

Posted on May 16, 2023

মোঃ বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষার্থীকে চড় থাপ্পড় ও লাথি মেরে সড়কে ফেলে মারধর করেছেন আব্বাস উদ্দিন নামের এক এএসআই।

মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা শেষে হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এঘটনা ঘটে। মারধর করা এএসআই আব্বাস উদ্দিন রাঙ্গাবালী থানায় কর্মরত আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা শেষে কয়েকজন পরীক্ষার্থী অন্যান্য সহপাঠীদের অপেক্ষায় কেন্দ্রের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন। এসময় এএসআই আব্বাস গিয়ে তাদেরকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে জুনাইদ আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী তার কাছে ধাক্কার কারণ জানতে চাইলে তাকে চর থাপ্পড় এবং ধাক্কা দিয়ে সড়কে ফেলে মারধোর করেন এএসআই আব্বাস।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জুনাইদ আহমেদ জানান, আগামীকাল আমাদের প্রাকটিকাল পরীক্ষা এজন্য স্যার আমাদেরকে পরীক্ষা শেষে দাঁড়াতে বলেছেন। তাই আমরা কয়েকজন কেন্দ্রের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন এএসআই আব্বাস গিয়ে আমাদেরকে বাহিরে দাঁড়াতে বলেন। আমরা বলছি যে সব বন্ধুদের পরীক্ষা শেষ হোক তারপর একসঙ্গে স্যারের কাছে যাব এজন্য দাড়িয়ে আছি। কিন্তু আব্বাস দাড়োগা গিয়ে আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে আমি বলি যে কি অপরাধে ধাক্কা দিলেন জানতে পারি। এরপর সে আমার কলার ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে মাটিতে ফেলে চড়থাপ্পর ও লাথি দেন।

এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. ইসান বলেন, কি অপরাধে আমাদেরকে মারলো? আগামীকাল আমাদের কৃষি শিক্ষা পরীক্ষার প্রাকটিকাল। তাই স্যার বলছে পরীক্ষা শেষে দাঁড়াতে। আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। আব্বাস দাড়োগা এসে ধাক্কা দিয়ে আমাদের বের করে দেয়। আমাদের বন্ধু ধাক্কার কারণ জানতে চাইলে তাকে চড় থাপ্পড় ও লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

রাঙ্গাবালী উপজেলার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সচিব মাওলানা মাহমুদুর রহমান জানান, পরীক্ষা শেষে আমি চলে আসছি। পরে শুনি গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটছে। এভাবে একজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ পেটাতে পারেনা। আমরা ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।

অভিযুক্ত এএসআই আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমি মারধর করি নাই। সরতে বলছি সরে নাই তাই ধাক্কা দিলে পরে যায়। তাকে লথি থাপ্পড় মারিনি।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, এটা দুঃখজনক। মারধর না ধাক্কা দিতেই বা কেন যাবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।