ঝিনাইদহে কর্মসৃজন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

Posted on May 14, 2023

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ইজিপিপি (অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান) কর্মসুচির দ্বিতীয় ফেইজের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প এলাকায় কম শ্রমিকের উপস্থিতি, হাজিরা খাতা ও সাইনবোর্ড না থাকা, জনপ্রতিনিধিদের না জানিয়ে কাজ শুরু করা এবং শ্রমিকদের সিম চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের পকেটে রাখাসহ নানাবিধও অভিযোগের মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে হরিণাকুন্ডু উপজেলায় চল্লিশ দিনের কর্মসুচি শুরু হয়। ১৮’শ শ্রমিকের জন্য ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুরুতেই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এই প্রকাল্পে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি এই প্রকল্প শুরুর আগাম কোন চিঠি চেয়ারম্যানদেকে না দিয়ে তড়িঘড়ি করে শুরু করে দেন। যার ফলে কাজ শুরুর প্রথম দিন দৌলতপুর ও তাহেরহুদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা না জানার কারনে কাজ শুরু করতে পারেনি। অবস্থা বেগতিক দেখে পিআইও নিজেই কাজ শুরুর দ্বিতীয় দিন মাঠে নামেন। উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের বকুল ডাক্তারের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ৭৯ শ্রমিকের বিপরীতে মাত্র ২২ জন শ্রমিক কাজ করছেন।

দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, আগে থেকে তাকে কোন চিঠি না দেওয়ার কারণে তিনি শ্রমিক জোগাড় করতে পারেননি।

তবে পিআইও মফিজুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রত্যেক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি কোন চেয়ারম্যান দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে তাহেরহুদা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর বাজার সংলগ্ন কর্মসুচি কেদ্রে গেলে ৮০ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৩ জন শ্রমিক উপস্থিত পওয়া যায়। গোটা উপজেলায় এমন চিত্র পাওয়া গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান

উত্তেজিত হয়ে বলেন, “কোন চেয়ারম্যান যদি শ্রমিকদের হাজিরা খাতা ও নির্দেশনা চিঠি দেখাতে না পারে তবে আপনারা তাকে বেঁধে ফেলুন”।

জানা গেছে, পিআইও ইতপিূর্বে বরগুনা জেলার আমতলি উপজেলাতে দ্বায়িত্ব পালন করার সময় তার বিরুদ্ধে র্দূনীতি নিয়ে যমুনা টিভিতে “মফিজের দুর্নীতি ফাঁস” ও ডিবিসি টিভিতে “ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করেন না পিওআই মফিজ” শিরোনামে খবর প্রচারিত হয়। ওই সময় তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও কিছু হয়নি। বর্তমান তিনি হরিণাকুন্ডু ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় পিআইও’র দায়িত্ব পালন করছেন।