অতিরিক্ত করের আওতায় পড়তে হবে এবি ব্যাংককে

Posted on May 3, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ব্যবসায় শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এজন্য ব্যাংকটিকে অতিরিক্ত করের শাস্তির কবলে পড়তে হবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কোনো অর্থবছরে নগদ লভ্যাংশের বেশি বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। অর্থাৎ বোনাস লভ্যাংশ সর্বোচ্চ নগদের সমান সমান হতে পারবে। যদি কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার বেশি দেয়, তাহলে ওই বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।

এছাড়া কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রাখা হয়।

দেখা গেছে, এবি ব্যাংকের ২০২২ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ০.৮৩ টাকা হিসেবে ৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে ২০২২ সালে কোম্পানিটি ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে। ফলে এরমধ্যে থেকে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ারবাবদ বিনিয়োগকারীদের ১ কোটি ৪২ ৯২ হাজার টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৭৬শতাংশ বা ৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা বা রিটেইন আর্নিংসে যোগ হবে।

কোম্পানিটিকে শুধুমাত্র ওই বোনাস শেয়ার ঘোষণার কারনে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে ১৪ লাখ ২৯ হাজার ২০০ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে। এছাড়া মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষনা করায় ৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার উপর ১০ শতাংশ হারে আরও ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।

এর আগে ২০২১ সালে নগদের চেয়ে বেশি বোনাস ও ২০২০ সালে শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দিয়ে অতিরিক্ত আয়করের শাস্তির কবলে পড়েছিল ব্যাংকটি।