ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত কক্সবাজার

Posted on April 17, 2023

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: পুরো রমজান মাস কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছিল সুনসান নীরবতা। এবার ঈদের টানা ছুটিতে সেই নীরবতা ভাঙার তোড়জোর শুরু হয়েছে।

তবে ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণের সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানে রঙ করা ও ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করা হয়েছে। ঈদের ছুটি পাঁচ দিন হলেও ঈদে টানা সাত দিন কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসবেন বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। এই সময়ে ১ হাজার কোটি টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন তারা।

ইতোমধ্যে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত কক্সবাজারের অবকাশ কেন্দ্রগুলো। অধিকাংশ হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস আগাম বুকিং হয়ে গেছে। অন্যান্য বছরের মতোই এবারের ঈদে দর্শনার্থীদের আগমন বেশি হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের। এছাড়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় ট্যুরিস্ট পুলিশ।

পর্যটক সংশ্লিষ্টরা পর্যটকদের বরণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। পর্যটন স্পট, হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসগুলো বুকিং দিতে শুরু করেছেন দর্শনার্থীরা।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ প্রান্তে।এবারে ঈদে ফেডারেশনভুক্ত আবাসিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসে ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৫দিন সরকারি ছুটি রয়েছে। আমাদের হোটেল গুলোতে এর মধ্যে অনলাইনে বুকিং শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা পর্যটকদের সাড়া পাচ্ছি। এবার প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ হাজার পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসবেন। বৈশাখের উত্তাল সাগর এসব পর্যটকদের দেবে ভিন্ন আমেজ। এক্ষেত্রে টানা সাত দিনে ১ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হবে বলে আশা করছেন তিনি।

তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপ এর এজিএম নাদিব চৌধুরী বলেন, আমাদের হোটেল আগাম বুকিং হিসাবে ৬০% বুকিং আছে। ঈদের আগে শতভাগ বুকিং সম্পর্ণ হবে।এবারের পহেলা বৈশাখে আমরা তেমন পর্যটকের সাড়া পাইনি। তবে ঈদে টানা ছুটি থাকায় আমরা এখন থেকে পর্যটকদের সাড়া পাচ্ছি। এবং আমরা পর্যটক টানতে বিশেষ ছাড়ও দিচ্ছি।

কক্সবাজারের খাবারের জন্য বিখ্যাত খাবার হোটেল ‘শালিক রেস্তোরাঁর’ মালিক নাছির উদ্দীন বলেন, ইতিমধ্যে আমরা আমাদের রেস্তোরাঁর সবকিছু প্রস্তুতি শেষ করেছি। পর্যটক টানতে দেশী খাবারের আইটেম বাড়িয়েছি। আশাকরি অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ব্যাবসা ভালো হবে জানান তিনি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরন করতে আমরা প্রস্তুত। ইতিমধ্যে সমুদ্র সৈকতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিনোদকেন্দ্র গুলোতে টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ট্যুরিস্ট পুলিশ সৈকতের প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, সৈকতে পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। সৈকতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য দল গঠন করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় আবারও চিরচেনা রূপে ফিরবে সৈকতসহ পর্যটন এলাকা। আমরা প্রস্তুতি হিসাবে কলাতলী ডলফিন মোড়ে পর্যটকদের সুবিধার্থে হেল্প বুট স্থাপন করেছি। এই বুটে পর্যটকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা মিলবে। সাথে অতিরিক্ত খাবার দাম ও রুমের দাম আদায় করলে অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান এই পর্যটক ম্যাজিস্ট্রেট।