পেঁয়াজের সিন্ডিকেট বাণিজ্য থামাতে হবে

Posted on September 25, 2019

পেঁয়াজ একটা অত্যাবশকীয় খাদ্য পণ্য। প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম কমে গিয়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতি সামলে নিয়েছেন। নানা কৌশল অবলম্বন করে মিয়ানমারের পেঁয়াজ এখন দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল, সেটাও সামলে নিয়েছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা, অর্থাৎ পেঁয়াজের দাম খুচরা বাজারে যে চড়েছে তা আপাতত কমছে না। পেঁয়াজ সিন্ডিকেট তাদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। জনগনের পকেট কেটে তারা শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার বর্তমানে রোহিঙ্গা এবং ক্যাসিনো ইস্যুতে ব্যস্ত আছে সেই সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো, দিকে নজর দিন। নইলে জনগনকে ১০০ টাকা দরে পেঁয়াজ খেতে হবে।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য প্রতি টন ৮৫০ ডলার বেঁধে দিয়ে একটি আদেশ জারি করে। দেশটিতে মূল্য বৃদ্ধির খবরে কম দামে আনা পেঁয়াজও চড়া দামে বিক্রি শুরু করেছেন আমাদের ব্যবসায়ীরা। ভারতের বেঁধে দেওয়া দামে এখনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ওই দামে আমদানির পর আবার নতুন করে দাম বাড়বে বলেই ধারণা। অথচ দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে ১৫ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপরও দাম কমেনি বরং এক দিনে তিনবার দাম বাড়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ন্যায্য দামে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে একজন ক্রেতা দুই কেজি কিনতে পারছেন। কিন্তু এটি পেঁয়াজের বাজার মূল্যে প্রভাব ফেলেনি। এক্ষেত্রে সংস্থাটির সক্ষমতা বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ভোগ্যপণ্য খোলাবাজারে বিক্রি করা গেলে তা বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

মিয়ানমারের পেঁয়াজ আছে এবং দামও কম। গত ১০ দিনে মিয়ানমার থেকে ৭০০ টন পেঁয়াজ এসেছে। যার দাম পড়েছে ৩৫ টাকা কেজি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এমন কিছু করেছে, / বার হাত বদল হয়েই সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে ভারতেও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। কিন্তু এসবের কোনো সুফল ভোক্তা পর্যায়ে পৌছাচ্ছে না সিন্ডিকেট তৎপরতার কারণে। পেঁয়াজ সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য সরকারি কঠোর উদ্যোগ দরকার।