পলাতক থাকায় তারেক-জোবায়দার আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

Posted on April 10, 2023

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক : পলাতক থাকার কারণে বিদেশ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াইয়ের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।

তবে বিদেশে থেকে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনি লড়াই করতে পারবেন কি-না, সে বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার। ওই দিন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এবিষয়ে আদেশ দেবেন।

বিদেশ থেকে তারেক-জোবায়দার আইনি লড়াই প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এর আগে করোনাকালীন সময়ে দেশের বাইরে থেকে দু’জন আগাম জামিন আবেদন করেছিলেন। তখন আদালত কিন্তু সে দুজনের আবেদন খারিজই শুধু করেনি, তাদের জরিমানাও করেছিলেন। এছাড়া একজন আইনজীবী এরকম একটা (সারেন্ডার না করা) মামলা করেছিলেন, হাইকোর্ট কিন্তু একপর্যায়ে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমাদের সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ে বিভিন্ন সময় এটা পরিষ্কার করে দেয়া হয়েছে যে, পলাতক ব্যক্তির আইনে আশ্রয় লাভের কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে ওনারা যেহেতু পলাতক (তারেক- জোবায়দা)। ওনারা আদালতে আসেননি। তাই কোন ধরনের সাবমিশন রাখার সুযোগ পাবেন না এবং কোন আইনজীবী আসতে পারেন না।’

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলাটি করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

গত ২৯ মার্চ এই মামলায় পলাতক তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের পক্ষে মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। দুজনের পক্ষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে, শুনানিতে অংশ নেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এই আইনজীবী।

তবে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, “তাদের আইনের আশ্রয় নিতে কে নিষেধ করেছে? তিনি (তারেক রহমান) থাকবেন লন্ডনে রাজকীয় ভবনে, আর বলবেন তাকে আইনের আশ্রয় লাভের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ‘উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত (অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক থাকলে) থাকার পরও তারা আইনজীবী নিয়োগের আবেদন আদালতের সময় নষ্ট ও আদালত অবমাননার সমান।”

দুদকের এই আইনজীবী আরও বলেন, “এর আগে আপিল বিভাগ তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আশ্রয় লাভের নির্দেশ দেন। তারা তা করেননি। নতুন একটা আবেদন নিয়ে এসেছেন। তাই তাদের আবেদন খারিজ করে অভিযোগ শুনানি শুরু করার প্রার্থনা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে মামলাটি করে দুদক।

তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে মামলায় আসামি করা হয়।