দু’শতাধিক ঔষধি গাছের দেখা মিলছে সাতক্ষীরা খামার বাড়িতে

Posted on April 8, 2023

শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : পৃথিবীতে অক্সিজেনের মূল উৎস্য বৃক্ষ। এ ছাড়া বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে মানুষের রোগ ব্যাধি নিরাময়ের গুনাগুণ। প্রাচীনকালে ঔষধি গাছ দিয়েই নিরাময় করা হতো অনেক দূরারোগ্য ব্যাধি। সে সকল ভেষজ ঔষুধি এখন বিলুপ্ত প্রায়। মানুষের মাঝে বিলুপ্তি হয়ে যাওয়া ঔষধি বৃক্ষ গুলো পরিচয় করাতে উদ্যোগ নিয়েছে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

খামার বাড়ির আঙ্গিনায় ও পরিত্যক্ত জায়গাতে রোপণ করা হয়েছে অর্জুন, বাসক, বিলম্ব, কালোকেশী, পাথরকুচি, চিরতা, তুলসী, বনজুঁইসহ প্রায় ২৫০ প্রজাতির বৃক্ষ বাগানটির নাম দেওয়া হয়েছে "মায়াকুঞ্জ"।

শুধু ঔষধি গাছ নয় বঙ্গবন্ধু সৃতি তরুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, সাথে তৈরি করা হয়েছে কৃষি জাদুঘর ও কৃষকের বাতিঘর।

সাতক্ষীরার খামার বাড়ির বঙ্গবন্ধু কর্ণার, কৃষি জাদুঘর ও কৃষকের বাতিঘরে রয়েছে আদি কৃষি কাজে ব্যবহারিত কাস্তে, লাঙ্গল, জোয়াল, ঠুসিসহ অনেক প্রাচীন কৃষি জিনিসপত্র। এ ছাড়া রয়েছে আধুনিক কৃষি কাজে ব্যবহারিত ধান রোপন, কর্তন সহ তথ্য নির্ভর ব্যানার ও পোষ্টার।

যা দেখে শিক্ষার্থীরা দেশের কৃষির উপর পাচ্ছে সঠিক ধারণা। বঙ্গবন্ধু কর্ণারে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের তথ্য ও ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

সাতক্ষীরার খামার বাড়িতে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ২ শতাধিক ঔষধি গাছের চারা রোপণের উদ্যোগ নেন উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন। বাগানটি থাকা একএকটি বৃক্ষতে রয়েছে একেক রকম ঔষধি গুন। এ ছাড়াও রয়েছে দুর্লভ কিছু ঔষধি বৃক্ষ। এদের মধ্যে কোনটি হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো কাজ করে, কোনটি কাশি সারায় আবার কোনটি ব্যথা প্রশমন করে। এ সব বিলুপ্ত প্রজাতির ঔষধি গাছ দেখতে ভিড় জামাচ্ছে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শিলমা রানী বিশ্বাস বলেন, আমরা এখানে এসে নতুন নতুন ঔষুধি গাছের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি, আগে এভাবে দেখার সুযোগ হয়নি এসব গাছে উপকারীতা জানতাম না এখন জানলাম বেশ ভালোই লাগছে।

উৎপল গাইন বলেন, এ সব গাছ আগে দেখার সুযোগ হয়নি বইতে পড়েছি ছবিতে দেখেছি সেগুলো এখন বাস্তবে দেখে এবং গুনা-গুন সম্পর্কে জানতে পেরে ভালো লাগছে। দেখার এমন সুয়োগ করে দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগকে ধন্যবাদ।

সাতক্ষীরা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক ড.জামাল উদ্দিন (সদ্য বদলীকৃত) জানান, বিলুপ্ত প্রায় এসব ভেষজ গাছ সমূহের বংশবিস্তার করা ও টিকিয়ে রাখাই প্রধান উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পের্কে জানাতে ও ভেজাল, রাসায়নিকের এই যুগে ঔষধি গাছের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে সে জন্য এ উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে করে নতুন প্রজন্ম যেমন এসব গাছ সম্পর্কে জানতে পারবে। তেমনি করে এগুলো দেখে বৃক্ষ রোপণে আগ্রহী হবে।