পুজিবাজার উন্নয়নে সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দিচ্ছে-বিএসইসি চেয়ারম্যান

Posted on April 2, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুজিবাজার উন্নয়নে সরকার সবোচ্চ পর্যায় থেকে আমাদেরকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ আমাদের সরকার প্রধান অসম্ভব সদয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সব রকম সহযোগীতা করছে৷

রবিবার (০২ এপ্রিল) বিএসইসি এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নব-গঠিত পরিচালনা পর্ষদের সৌজন্য বৈঠক চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ডিএসইর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর নেতৃত্বে ডিএসইর নব-গঠিত পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম-এর সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন৷

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ডিএসই’র নতুন চেয়ারম্যান ও পরিচালকবৃন্দ যার যার অবস্থানে অত্যন্ত অভিজ্ঞ৷ নতুন চেয়ারম্যান-এর গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান পুঁজিবাজারের সকল প্রতিকুলতা অতিক্রম করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলে আশা করি৷

তিনি বলেন, ডিএসই’র পুরনো এবং নতুন পরিচালকদের সমন্বয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাজারকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ তিনি নতুন বোর্ডের কাছে ডেটা সেন্টার এবং ডিজাস্টার রিকভারি সাইট বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে এ বিষয়ে দ্রত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান৷

ডিএসইর নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমূখী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সফল ব্যক্তিবর্গ এবং পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শেয়ারহোল্ডারবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ডিএসই-এর পরিচালনা পর্ষদ৷ আমি ধন্যবাদ জানাই বিএসইসি’র চেয়ারম্যান ও কমিশনারবৃন্দকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য৷

তিনি আরো বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একটা আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ব্যবস্থা থাকা দরকার, একটা স্মার্ট সিস্টেম থাকা দরকার৷ এই জায়গাটায় কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে৷ উন্নত বিশ্বের যত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, তারা বেশীর ভাগই অটোমেশন করে ফেলেছে স্মার্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে৷

ড. হাসান আরো বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আইসিটি হতে হবে অত্যাধুনিক। বাইরের দেশগুলোর মতো আমাদেরও সবকিছু অটোমেটেড হতে হবে। আমাদের আইটি হতে হবে নাম্বার ওয়ান। আমাদের আইসিটি শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নয়, সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপটে নাম্বার ওয়ান হতে হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অংশগ্রহণে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে৷ যেখানে Industry People থাকবে, একাডেমিশিয়ান থাকবে এবং ডিএসইর লোক থাকবে৷ সবাই মিলে Long term এবং Short term পরিকল্পনা নিয়ে আগাব এবং কোথায় আমাদের শুরু করতে হবে, কোথায় যেতে হবে এ সবই আমাদের পরিকল্পনায় থাকবে৷

তিনি আরো বলেন, আমরা যারা এই নব-নির্বাচিত বোর্ডে যোগদান করছি, আমাদের পার্সোনাল কোন এজেন্ডা নেই। আমাদের উদ্দেশ্য বাজারে ভালো কোম্পানি আনার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বৃদদির মাধ্যমে এই মার্কেট এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো। এটাই হলো আমাদের লক্ষ্য। আমরা এখানে সকলের সাথে সমন্বয় করে এই পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে নিয়ে যাবো।

পরিশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের বড় ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে জিডিপিতে বাজার মূলধনের পরিমান বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারলে সেটাই হবে আমাদের বড় অর্জন। বিএসইসি’র পরামর্শ, উপদেশ আমাদের এ দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে। আমি আশা করি আপনাদের সহযোগিতায় দিন বদলের এই জার্নিতে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলে সকলের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করব৷

এসময় বিএসইসি থেকে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, ড. মিজানুর রহমান, মোঃ আব্দুল হালিম, ড. রুমানা ইসলাম এবং নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান৷

বৈঠকে নবগঠিত পরিচালকগণের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোঃ আফজাল হোসেন এবং রুবাবা দৌলা, ডিএসই’র শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মোঃ শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, শরীফ আনোয়ার হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এবং সিনিয়র জিএম এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান৷