শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে ফের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হচ্ছে

Posted on April 1, 2023

গাজীপুর প্রতিনিধি : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে ফের কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় দিকে তাকে একটি প্রিজন মাইক্রোতে করে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার - ১ এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে আবার ওই কারাগারে পাঠানো হয়েছে

এর আগে গতকাল শুক্রবার দেড়টার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ স্থানান্তর করা হয়। আজ তাঁকে পুনরায় কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে সংবাদটি শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি শিশুটির নাম জাকির হোসেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’ সামাজিক মাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়। সংবাদটি দেশ বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন।

এজাহারে বলা হয়, এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালি গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বহিঃবিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বধীনতা অর্জন নিয়ে আলোনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এতে আরো বলা হয়, পরবর্তীতে ৭১ টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। শিশুটির বিষয়ে ভুল তথ্য, নাম পরিচয়ও ভুল দেওয়া হয়েছে। পরে শিশুটি জানিয়েছে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে এই ছবি তুলেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও বাংলাদেশের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমন সংবাদ করেছে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদক।