বাংলাদেশ রাশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এদেশে রাশিয়ার অনেক বিনিয়োগ আছে। কিন্তু কিছু বাণিজ্য বাধার কারণে দেশটির সঙ্গে আশানুরূপ বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়নি। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাধা দূর করতে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। মার্চ মাসের শেষের দিকে সমঝোতা চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সরকাররের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেল চালু হবে, বাণিজ্যের জন্য বাজার উন্মুক্ত হবে এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত আর কোনো জটিলতা থাকবে না।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯১-৯৩ সময়ে যে ১১টি দেশ হয়, এগুলোকেই একসঙ্গে বলা হয় কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস (সিআইএস)। দেশগুলো হচ্ছে রাশিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, ইউক্রেন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, আর্মেনিয়া, মলদোভা, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান।
সিআইএসভুক্ত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানিতে বড় সমস্যা হচ্ছে উচ্চ শুল্ক। শুল্কায়ন জটিলতাও আছে। এর চেয়েও বড় কথা দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আধুনিক ব্যাংকের কোনো যোগাযোগ নেই। বাণিজ্য করতে হয় তৃতীয় দেশের মাধ্যমে। এই চুক্তির ফলে এসব সমস্যার সমাধান হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করলে বাণিজ্যের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, সি-ফুড, আলু, ওষুধ প্রভৃতি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এই চুক্তির ফলে বাণিজ্যের নতুন করে আরও সুযোগ সৃষ্টি হবে, রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, সর্বোপরি রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে- যা অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক।
আরও পড়ুন: ফসলের মাঠে প্রয়োজন ভেজালবিরোধী অভিযান
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
বাংলাদেশ-রাশিয়া সমঝোতা চুক্তি; নতুন দিগন্তের সূচনা https://corporatesangbad.com/221612/ |