নির্ধারিত সময়ে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হোক

Posted on January 20, 2019

কর্পোরেট সংবাদ ডেস্ক: বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নধীন পদ্মা সেতুর পিলারের নকশা নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছিল তা কেটে গেছে। মঙ্গলবার সংশোধিত পিলারের নকশার অনুমোদন দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ এর ফলে আগে পদ্মা সেতুর পিলার সংক্রান্ত সব জটিলতার অবসান হয়েছে। এর আগে পদ্মা সেতুর ৮, ১০, ১১, ২৬ ও ২৭ নম্বর স্প্যানের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। বাকি ছিল ৬ ও ৭নং পিলারের নকশা চূড়ান্ত করার কাজ কারিগরি জটিলতার কারণে আটকে ছিল। ফলে মাওয়া প্রান্তে কাজ মন্থর হয়ে যায় কিন্তু জাজিরা প্রান্তে কাজ অব্যাহত ছিল। কিন্তু এখন ৬ ও ৭নং পিলারের নকশা চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হওয়ায় মাওয়া প্রান্তেও কাজে গতি এল, এখন আশার কথা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে এবং দেশবাসীর এটাই স্বপ্ন ৷

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নকশা জটিলতা ও নদীর তলদেশে ভয়াবহ স্রোতের কারণে কাজ ব্যাহত হয়। ফলে প্রকল্প শেষের সময় পুন:নির্ধারণ করে ২০১৯-এর ডিসেম্বর করা হয়। পদ্মা সেতুর জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে 8 হাজার ৩৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু পিলার সংক্রান্ত জটিলতার কারণে খরচ করতে না পারার সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা।

বর্তমানে সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অনেক উন্নতি হয়েছে, যে কারণে বিশ্বের সেতু নির্মাণের সময় কমে এসেছে। চীনে দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার সমুদ্র সেতু নির্মাণ হয়েছে মাত্র ১১ মাসে। ওই প্রকল্পের ঠিকাদার ছিল চায়না মেজর ব্রিজ, যে প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি কাজ করছে। পদ্মা সেতুর কারিগরি জটিলতার কারণে সম্পন্ন হতে দেরি হচ্ছে, তবে কেউ কেউ যে বলছেন সেতু নির্মাণ হতে আরো ৪ বছর সময় লাগবে। আমাদের মনে হয় কারিগরি জটিলতা দূর হওয়ার কারণে এখন আর অত সময় লাগবে না। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে না হলেও হয়ত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হয়ে যাবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সময় আমরা বলতে পারবো বিশ্বের ২৫তম বড় সেতু আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়ণে নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি।

আরও পড়ুন: চমকের মন্ত্রীসভার কাছে জনগনের প্রত্যাশা