স্বামী রাজকে জীবন থেকে ছুটি দিলেন পরীমনি

Posted on December 31, 2022

বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। তবে সেই সংসারে নেমে এলো ভাঙ্গনের সুর। সব সম্পর্ক ছিন্ন করে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রাজের বাসা থেকে চলে এসেছেন পরী।

শুধু তাই নয়, তার জীবন থেকে স্বামী শরিফুল রাজকে চিরতরে ছুটিও দিয়েছেন বলে জানান দিয়েছেন পরীমনি।

কয়েকমাস ধরেই তাদের দাম্পত্যকলহের গুঞ্জন ছিল। এবার তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে ফাটলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নায়িকা নিজেই।

শুক্রবার দিবাগত রাতে পরী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে রাজের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন।

পরীমনি লিখেছেন- ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরী আর কিছুই নেই।’

পরীমনি এই ‘ছুটি’ শব্দটাকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ বুঝিয়েছেন কি না—সেটা স্পষ্ট করেননি। তাই তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, এমনটা বলা যাচ্ছিল না। পরে একটি গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তাদের বিচ্ছেদ হয়নি।

পরীমনি বলেন, এখনও বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগিরই বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব।

আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তার আরও বক্তব্য, বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তার আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা এখন ভালো নাই, এর বেশি আর কিছু বলতে পারছি না।

পরীমনি ও শরিফুল রাজ প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়। এরপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন। শরীফুল রাজ ও পরীমনির বিয়ের ঘটক ছিলেন পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম আর উকিল বাবা ছিলেন রেদওয়ান রনি।

গত ২২ জানুয়ারি নায়িকা পরীমনি আনুষ্ঠানিকভাবে শরীফুল রাজের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ১০১ টাকা দেনমোহরে পরী-রাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

তবে জানা গিয়েছিল পরী-রাজের এই বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা ছিল মাত্র। তারা গত বছর ১৭ অক্টোবর চুপিচুপি বিয়ে করেছেন। বিষয়টি ঘোষণা দেন চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি। একই সঙ্গে আরও জানান, বাবা-মা হতে চলছেন দুজনে। পরে ১০ আগস্ট রাজ-পরীর কোলজুড়ে আসে এক পুত্রসন্তান যার নাম রাখা হয় শাহেম মুহাম্মদ রাজ্য। আর এরই মধ্যে বেজে উঠলো বিচ্ছেদের গান।