একমাত্র দেশীয় কোম্পানি, যাদের বিদেশি বিনিয়োগ ছিল খুব কম সেই সিটিসেল বন্ধ হয়ে গেছে রাজনীতির মারপ্যাঁচে। এক সময় ডাকাতি করলে পরে সিটি সেল অনেক কম পয়সায় সেবা প্রদান করছিল। তারা ২৫ পয়সা ও ৬০ পয়স ফ্লাট রেট চালু করেছিল। কিন্তু ওই কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে গেলে সেলুলার সেবা বিদেশিদের অনেকটা এক চেটিয়ে হয়ে গেছে। তারা সিন্ডিকেট করে উচ্চ মুনাফা ধরে রেখেছে এবং বৈধপথে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করছে। সরকারি কোম্পানি টেলিটক তাদের সাথে পেরে উঠছে না। তারা অতিমুনাফার চোরাবালিতে হারিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে কোম্পানিগুলো সবচে বেশি মুনাফা করছে ইন্টারসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে। মেয়াদের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।
দেশের বিশিষ্ট তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর প্রধান কাজ হবে ইন্টারনেটের খরচ কমানো। তিনি তার কথা রেখেছেন। ভ্যাট কমানোতে সরকারকে রাজি করতে পেরেছেন। কিন্তু মোবাইল অপারেটরদের অতিমুনাফার কারণে যদি তা ভেস্তে যায় সেটা সরকারের ব্যর্থতা বলে বিবেচিত হবে। এখন প্রতিদিন ২ কোটি টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ওই ১০ শতাংশ ভ্যাট বাবদ। যা সরকারি কোষাগারে জমা হবে না কিন্তু জনগণের পকেট থেকে ঠিকই বেরিয়ে যাচ্ছে।
সরকার ভ্যাট কমিয়েছে একটা মহৎউদ্দেশ্যে নিয়ে, যাতে জনগণ কম খরচে ইন্টারনেট সেবা পেতে পারে। যাতে গরিব মানুষরাও সেবা পায়। কিন্তু সবগুলো কোম্পানিই অনিয়ম করে যাচ্ছে।
ভ্যাটের প্রত্যাহার করা ১০ শতাংশের সুবিধা যাতে গ্রাহকরা পায় সেজন্য যে কোন ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে শিথিলতা দেখালে তা মোবাইল অপারেটদের দৌরাত্ম আরো বাড়িয়ে দিবে।
আরও পড়তে পারেন:
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম নিয়ন্ত্রণ জরুরি https://corporatesangbad.com/172658/ |