সায়েন্সল্যাবে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

Posted on March 6, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় টিচার্স ট্রেনিং কলেজের বিপরীত পাশে শিরিন ম্যানশন নামের ভবনটির তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছে।

সোমবার (৬ মার্চ) ওই ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন জনসাধারণের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ’ সাইনবোর্ড ঝুলছে।

এদিকে আজ সকাল থেকে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভবনটির চারপাশে নিরাপত্তায় রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।

এর আগে পুরো ভবনে বিস্ফোরণসংক্রান্ত বিভিন্ন আলামত ক্রাইসিনের ফিতা দিয়ে ঘিরে নেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্যরা। এরপর তারা সেখানে বিকেল পর্যন্ত অবস্থান করেন। পরে নানা বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের বোম ডিসপোজাল টিম। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, তারা বিস্ফোরকসংক্রান্ত কোনো আলামত পাননি। পরে সেখানে আসে সেনাবাহিনীর বোম ডেসপোজাল টিম। তারাও একই কথা জানায়।

বিকেলে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। আপাতত ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকবে।

রোববার (৫ মার্চ) পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে শিরিন ভবনের তিনতলায়। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন ১৫ জন। আহত ব্যক্তিরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভবনে বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানিয়েছে, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে।

বিস্ফোরণে আশপাশের ভবনও কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্প হচ্ছে মনে করে অন্যান্য ভবনের লোকজনও নিচে নেমে আসেন। বিস্ফোরণের পরেই আগুন ধরে যায় ভবনেটিতে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট মিলে নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধারকাজ শুরু করে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানায়, জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে গ্যাস ডিটেক্টর (শনাক্তকারী যন্ত্র) দিয়ে পরীক্ষা করে সেখানে গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে বলে জানায়। তবে ঠিক কোথায় ও কীভাবে গ্যাস জমে ছিল, কীভাবে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়, সেটা গতকাল পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের কর্মকর্তারা জানান, কোনো আবদ্ধ জায়গায় স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ঘনত্বের গ্যাস থাকলে বৈদ্যুতিক সুইচ, শর্টসার্কিট, দেশলাই বা লাইটারসহ এ ধরনের যেকোনো কিছু থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হতে পারে।