মাদক ব্যবসায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের প্রত্যক্ষ মদদে ও সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদকের অভয়ারণ্য হয়েছে যা পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়। সরকারি প্রভাবশালী কিছু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধেও রয়েছে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার গুরুতর অভিযোগ। মাদকের খুচরা ব্যবসায়ীদের একটি বক্তব্যই হলো, “বড়ভাই অর্থাৎ স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা আর স্যারদের মানে অসাধু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ম্যানেজ করেই খুচরা বিক্রেতারা মাদক ব্যবসা করে থাকে।”
গাছের শিকর উপরে না ফেলে শুধুমাত্র গাছের পাতা বা ছোট ছোট কান্ড ছেটে দিলে মূল গাছের তেমন কোন ক্ষতি হয় না। দু’চার দিন পর গাছ আবার পাতায় পাতায় ভরে ওঠে। মাদক ব্যবসার গডফাদার আর খুচরা বিক্রেতারাও তাই। বন্দুকযুদ্ধের নামে খুচরা বিক্রেতাদের নিধন করা হলেও গডফাদারের হয়তো সামান্য সময়ই লাগবে নতুন করে খুচরা বিক্রেতা তৈরি করতে। সমাজ থেকে মাদক নির্মুল করতে হলে গডফাদারদের নির্মুল করতে হবে। তাহলে খুচরা বিক্রেতারা অবৈধ পেশা পরিবর্তনে হয়তো বা বাধ্য হবে। কারণ, তারা যদি মাদক হাতে না পায়, তাহলে তো আর বিক্রি করার প্রশ্নই আসবে না।
মাদক নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী তথা সরকারের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। পারিবারিকভাবে সন্তানদের সুশিক্ষা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রচারণাসহ মাদকের কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এছাড়া, যদি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যও এর সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তাদেরকেও কঠোরভাবে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর সেজন্য দেশ থেকে মাদকের বিষবৃক্ষ সমুলে উৎপাটনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সাথে সচেতন জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে হলে আগে গডফাদারদের নির্মুল করতে হবে https://corporatesangbad.com/162383/ |