নিরীক্ষকের মতে, মুন্নু ফেব্রিক্সে ২৮ কোটি টাকার ভূয়া সম্পত্তি

Posted on March 2, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু ফেব্রিক্স কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ভূয়া সম্পত্তি দেখিয়ে আসছে। যার পরিমাণ ২৮ কোটি টাকারও বেশি। এর মাধ্যমে প্রতারণা করছে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে। এ ছাড়াও শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড ওপিনিয়িন) করেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, মুন্নু ফেব্রিক্স কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে নগদ প্রণোদনা (ক্যাশ ইনসেনটিভ) পাওয়া যাবে বলে আর্থিক হিসাবে ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়ে আসছে। কিন্তু ওই প্রণোদনার বিস্তারিত তথ্য, বছরভিত্তিক প্রণোদনার পরিমাণ ও সত্যতা যাচাইয়ের মতো কোন ডকুমেন্টস পায়নি নিরীক্ষক।

এদিকে কয়েক বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে আয়কর ফেরত পাওয়া যাবে বলে হিসাবে ১ কোটি ১২ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়ে আসছে মুন্নু ফেব্রিক্স কর্তৃপক্ষ। এই সম্পদেরও কোন বিস্তারিত তথ্য ও সত্যতা যাচাইয়ের মতো কোন ডকুমেন্টস নেই।

একইভাবে কয়েক বছর ধরে সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়ে আসছে মুন্নু ফেব্রিক্স। যার মধ্যে ১ কোটি ৫ লাখ টাকার কোন ডকুমেন্টস নেই। এছাড়া আর্থিক হিসাবে দেখানো ৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার অগ্রিম লীজ প্রিমিয়ামের কোন ডকুমেন্টস পায়নি নিরীক্ষক।

এই কোম্পানিতে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ডে (ডব্লিউপিপিএফ) ৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা রয়েছে। এরমধ্যে আগের ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা অন্তর্ভূক্ত আছে।

কিন্তু ২০০৬ সালের শ্রম আইনের ২৩২ ধারা অনুযায়ি, অর্থবছর শেষ হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে ফান্ড বিতরনের বিধান রয়েছে। কিন্তু ওই ফান্ড কর্মীদের মধ্যে বিতরণ না করে তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন মুন্নু ফেব্রিক্স কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ওই ফান্ডের বিপরীতে সুদও গণনা করে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মুন্নু ফেব্রিক্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৫৯.৩২ শতাংশ।