আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সহিংসতা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। দেশ দুটির মধ্যে সহিংসতা এড়াতে জর্ডানের মধ্যস্থতায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হচ্ছে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি)। এতে অংশ নেবে যুক্তরাষ্ট্রও।
আকাবার লোহিত সাগর বন্দরে একদিনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক উপস্থিত থাকবেন। বহু বছর পর প্রথমবারের মতো এই বৈঠক ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শীর্ষ নিরাপত্তা প্রধানদের একত্রিত করবে। প্রধান আঞ্চলিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকছেন বৈঠকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে শান্তি পুনরুদ্ধার এবং দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য ওয়াশিংটন ও আঞ্চলিক অংশীদার মিশরের সঙ্গে জর্ডানের এই বৈঠক।
জর্ডানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এই বৈঠক। যদি এর উদ্দেশ্য অর্জিত হয়, তবে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
বৈঠকটি কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘর্ষ থামানোর একটি সুযোগ করে দিয়েছে। তাদের এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে আরবদের ক্ষোভ বাড়ছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে উদ্বেগ বেড়েছে।
গতবছর রমজান মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। জেরুজালেম তিনটি ধর্মের কাছেই পবিত্র। জর্ডান হলো জেরুজালেমের পুরোনো শহরের একটি প্রধান মসজিদ আল আকসার তত্ত্বাবধায়ক।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর বেসামরিক ব্যক্তিসহ অন্তত ৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন ইসরায়েলের অভিযানে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একই সময়ে ফিলিস্তিনি হামলায় দশজন ইসরায়েলি ও একজন ইউক্রেনীয় পর্যটক মারা গেছেন।
এ মাসের শুরুতে, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন। ম্যাকগার্কের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি।
জর্ডানের এক কর্মকর্তা বলেছেন সহিংসতা এড়ানোর পাশাপাশি রোববারের বৈঠকটি ইসরায়েলের একতরফা পদক্ষেপ বন্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের ভবিষ্যতের রাজনীতির পথ সুপ্রসন্ন করতে পারে এ বৈঠক।
জর্ডান ইসরায়েলের ইহুদি বসতি স্থাপনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলকে জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল।
ডানপন্থি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় ফিরে আসার পর পশ্চিম তীরে আরও উত্তেজনা বেড়েছে। ইসরায়েলের আগ্রাসন আরবদের মাঝে উদ্বেগ আরও গভীর করেছে।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়। সূত্র: রয়টার্স
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
জর্ডানের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বৈঠক https://corporatesangbad.com/15470/ |