আবুধাবী কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে ইবিএল’র ফরফেটিং চুক্তি

Posted on February 22, 2023

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) সম্প্রতি আবুধাবী কমার্শিয়াল ব্যাংক’র (এবিসিবি) সঙ্গে একটি মাস্টার ফরফেটিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং একই সঙ্গে সফলভাবে একটি পরীক্ষামূলক ফরফেটিং লেনদেনও সম্পন্ন করেছে। এই লেনদেন ইউনিফর্ম ফরফেটিং নীতি (আইসিসি পাবলিকেশন নং ৮০০) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফরফেটিং লেনদেনের সাহায্যে ক্রেডিট সেলকে ক্যাশ সেলে রুপান্তরিত করা হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে ইবিএল মহাব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “এ জাতীয় লেনদেন দ্বারা রপ্তানীকারকরা ব্যালেন্সশীট এবং ক্যাশফ্লোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। কেননা এর মাধ্যমে এলসি লেনদেনে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই পেমেন্ট পাওয়া সম্ভব হবে। ইউনিফর্ম রুলস ফর ফরফেটিং (ইউআরএফ) ৮০০ এ আর্থিক দাবী বিক্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেকেন্ডারী মার্কেটে এই ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়কে সহযোগিতা করার জন্য এই ইউআরএফ ডিজাইন করা হয়েছে”।

ইবিএল উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং হেড অফ ট্রেজারি, ফাইনান্সিয়াল ইন্সটিটিউশন্স ও ওভারসীজ ব্যাংকিং ইউনিট মেহেদী জামান বলেন, “পরীক্ষামূলক প্রথম এই ফরফেটিং লেনদেনে রপ্তানী আয় গৃহীত হয়েছে। নতুন এই প্রোডাক্টটি রপ্তানী আয় গ্রহণ কাঠামোকে আরো উন্নত করবে। এই লেনদেনে এডিসিবির পার্টনারশীপকে ইবিএল স্বাগত জানাচ্ছে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানী বানিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে”।

এডিসিবির হেড অফ ট্রানজেকশন ব্যাংকিং সেলস কৃষ্ণ কুমার জানান, “গত প্রায় এক দশক যাবৎ এডিসিবি বাংলাদেশের ট্রেডফ্লোকে সহায়তা প্রদান করে আসছে। এখন প্রবর্তিত ফরফেটিং সল্যুশন রপ্তানীকারকদের তাদের ক্যাশফ্লো সাইকেলকে কমিয়ে আনতে সহায়ক হবে। আমরা আরো কিছু সংখ্যক পার্টনারের সঙ্গে কয়েকটি পরীক্ষামূলক লেনদেন করবো এবং এর মাধ্যমে নতুন এই সল্যুশনটির বানিজ্যিকীকরণের আশা রাখি, যাতে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশী রপ্তানীকারকদের সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম হয়”।

পরীক্ষামূলক লেনদেনের অধীনে এডিসিবি ইস্টার্ণ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পাদিত ফরফেটিং চুক্তির বলে একটি এক্সপোর্ট এলসি রিস্ক ক্রয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে রিকোর্স বেসিস ছাড়াই ক্যাশ প্রদান করে। এক্ষেত্রে ইবিএল রপ্তানীকারকের পক্ষে এলসি সংক্রান্ত সকল ডকুমেন্টের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। এই সমাধানটি বর্তমান পরিস্থিতিতে রপ্তানীকারকদের বিশেষ সহায়ক হবে কারন তারা রপ্তানী থেকে প্রাপ্ত আয় দ্রুততর সময়ের মধ্যে পেতে সমর্থ হবেন।