কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল,হোটেল মোটেল খালি নেই

Posted on February 21, 2023

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ ২১ ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। 

হোটেল-মোটেলে ঠাঁই হচ্ছে না পর্যটকদের। আগে থেকে হোটেল ঠিক না করে বেড়াতে আসায় থাকার জায়গা পাচ্ছেন না পর্যটকেরা। হোটেল-মোটেল আর কটেজে জায়গা না পেয়ে হাজারো পর্যটক সৈকতের বালুচরে পায়চারি করে অথবা বিভিন্ন স্থানে ঘুরছেন।

হোটেল মালিক ও টুরিস্ট পুলিশের ভাষ্য মতে, ‘গত দুই দিনে অন্তত সাড়ে ৪ লাখ পর্যটক সৈকত ভ্রমণে এসেছেন। এ সময় ব্যবসা হয়েছে শত কোটি টাকার।’

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক পর্যটক গোসলে ব্যস্ত। অন্যদিকে হোটেল না পেয়ে শহরের কলাতলী সড়কে দাঁড়িয়ে আছেন অসংখ্য পর্যটক। তাদের সঙ্গে শিশুরাও রয়েছে।

এদিকে পর্যটক সমাগমের কারণে শহরসহ সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ।

জানা গেছে, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেলের বেশির ভাগ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। সেন্টমার্টিনের কোনো জাহাজেই খালি সিট মিলছে না। সব জাহাজের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে।

হোটেল ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘কক্সবাজারের প্রায় ৫০০ হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে প্রায় দেড় লাখ পর্যটকের রাত যাপনের সুবিধা রয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারির ছুটিতে কোনো রুম খালি নেই। 

চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে সকালে কলাতলী হাঙর ভাস্কর্য মোড়ে নামেন রাজশাহী থেকে আসা লন্ডন প্রবাসী জিকু আহমেদ (৫৫)। তিনি জানান, ‘কলাতলীসহ হোটেল মোটেল জোনে রুম খুঁজ করলেও কোনো রুম মেলেনি। এ জন্য আগাম বুকিং না দেওয়াকে দায়ী করছেন তিনি।’

পর্যটকদের নিরাপত্তায় সি লাইফ গার্ডের ইনচার্জ ওসমান গণি বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পা রাখারও জায়গা নেই। এ সময়টা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। কারণ লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছে। তবে আমাদের লোকবল মাত্র ৩৪ জন। এটা মোকাবিলা করা আমাদের জন্য কঠিন। তবে পর্যটকরা আমাদের দিকনির্দেশনা মেনে চললে কোনো বিপদ ঘটবে না।’

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহিন বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রস্তুত। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে হেল্প ডেক্স বসানো হয়েছে। পর্যটকরা আমাদের অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’