সরকারি স্কুলগুলোতে নিয়মিত উপবৃত্তি প্রদানের সহায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নগদ

Posted on February 19, 2023

মোঃ বাদল হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পূর্বের চিত্র পাল্টে গেছে শহর থেকে গ্রাম অঞ্চলের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সকাল থেকেই স্কুল মাঠ ভরে যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে স্কুলগুলো। এমন চিত্র মিলেছে ৫৬ নং সেহাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যেন শিশুদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে বিদ্যালয় মাঠ ও শ্রেনী কক্ষ।

শুধু সেহাকাঠী বিদ্যালয়েই নয় পটুয়াখালী শহর এবং গ্রামের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পদচারনায় যেন প্রতিদন বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি বা ঝরে পড়া নেই বলতে গেলেই চলে।

বিদ্যালয়ে এ শতভাগ উপস্থিতি সরকারের নিয়মিত উপবৃত্তি প্রদানের সুফল। আর এ সুফলকে সহজ ও সুগম করেছে নগদ। নগদের মাধ্যমে ঝামেলাহীন ভাবে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আর এ জন্য সরকারের উপবৃত্তি কার্যক্রমকে অন্যতম সহায়ক হিসেব চিহ্নিত করলেন এ অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা।

এলাকার প্রান্তিক কৃষক মজিদ মিয়া জানান, তার বড় ছেলেকে আর্থিক সংকটের কারণে পড়াতে পারি নাই, কিন্তু সরকারের উপবৃত্তি দেওয়ায় ছোট ছেলেটা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। নগদ এর মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে নিয়মিত উপবৃত্তির টাকা তুলে ছেলের বই খাতা কেনা পড়াশোনার খরচ চালাই। তাই সরকারকে ধন্যবাদ জানাই গরীবদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, সাথে নগদ-কেও ধন্যবাদ জানাই সময়মতো উপবৃত্তির টাকা হাতে পৌছে দেওয়ার জন্য।

মজিদ মিয়ার মতো অসংখ্য উপকারভোগীরা উপবৃত্তি কার্যক্রমকে সুন্দরভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য নগদ-কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন।
২০২১ সাল থেকে নগদ মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করছে। নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তি না পাওয়ার অভিযোগ খুবই কম নেই বললেই চলে।

৫৬ নং সেহাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সালমা আক্তার জনান, বিদ্যালয়ে এখন সবধরনের শিক্ষার্থীদের উস্থিততি চোখে পড়ার মতো। এমনকি প্রতিবন্ধী শিশুরাও নিয়মিত স্কুলে আসছে। সরকারের উপবৃত্তি প্রদানের সুফল এটা। আর সুফলকে কার্যকর করে তুলেছে ‘নগদ’। সরকারের পাশাপাশি আমরা নগদকেও ধন্যবাদ জানাই।

এ কারণেই নগদ নিয়ে বলতে গিয়ে সেহাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘নগদ‘ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই সেবাটা দিচ্ছে। তারা খুব ভালোভাবে উপবৃত্তি প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমার দেখা মতে সদর উপজেলায় খুব স্বচ্ছতার সঙ্গে উপবৃত্তি বিতরণ হচ্ছে। অনিয়ম দেখছি না। এখানে শিশুরা খুব ভালোভাবে টাকা পাচ্ছে। উপবৃত্তি পাওয়ার ফলে আমার বিদ্যালয়ের ৩৮৫ জন ছাত্র নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে। এ জন্য আমি নগদ-কে ধন্যবাদ দেবো। আশা করবো, এভাবেই তারা দেশের শিক্ষা প্রসারে অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করে যাবে।'