আমদানি ঠেকালো রিজার্ভের ব্যাপক পতন

Posted on February 16, 2023

কর্পোরেট ডেস্ক : বিশ্বের বাণিজ্যিক অস্থিরতায় দেশে তৈরি হয় ব্যাপক ডলার সংকট। এরপরেই আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এলসি খোলার পরিমাণ ছিলো ৫২.৪৭ বিলিয়ন ডলার। কড়াকড়ির ফলে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এলসি খোলা হয়েছে ৩৯.৪৬ বিলিয়ন ডলারের। অর্থাৎ ৭ মাসে এলসি খোলা কমেছে ১৩ বিলিয়ন ডলার বা ২৪.৭৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এপ্রিলে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৪৪.০১ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাড়িয়েছিলো ৩২.২২ বিলিয়ন ডলার। আমদানি কড়াকড়ির কারণে সাত মাসে আমদানি খরচ কমে ১৩ বিলয়ন ডলার। আমদানির পরিমাণ না কমলে জানুয়ারি শেষে রিজার্ভ দাড়াতো ১৯.২২ বিলিয়ন ডলারে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ক্যাপিটাল মেশিনারির এলসি ওপেনিং হয়েছে ১.৪১ বিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিলো ৪.২৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের এই ৭ মাসে ইন্টারমিডিয়েট গুডস ও ভোগ্যপণ্যের আমদানির পরিমাণ কমেছে যথাক্রমে ৩৩.৩০ শতাংশ এবং ১৮.২২ শতাংশ। আলোচিত এই সময়ে দুই খাতে আমদানি হয়েছে ৩ বিলিয়ন ও ৪.৭ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশিল রাখতে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর একের পর এক নির্দেশনা জারি করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এছাড়া গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম আমদানিতে ২৫ শতাংশ নগদ মার্জিনের ঘোষণা আসে। এরপর কয়েকবার বাড়িয়ে গত অর্থবছরের শেষে অর্থাৎ জুন মাসে ২৭ ধরণের পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিন করা হয়। এছাড়া আমদানি এলসি মূল্য ৩ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি হলেই এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে অনলাইন ইমপোর্ট মনিটরিং সিস্টেমের (ওআইএমএস) মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে বলা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এলসি খোলার সঙ্গে এলসি সেটেলমেন্টের পরিমাণও কমেছে। তবে চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে এলসি সেটেলমেন্ট হয়েছে ৪৬.৮২ বিলিয়ন ডলার, যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ২.৮৬ শতাংশ বেড়েছে। দীর্ঘ দুই বছর আমদানি বন্ধ থাকায় করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমদানি বেড়েছিলো। এছাড়া নতুন করে আগের ডেপার্ড পেমেন্টও করতে হয়েছে। তার কারণে আলোচিত এই সময়ে এলসি সেটেলমেন্ট অনেক বেশি ছিল।