নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোলায় তেলবাহী ট্যাংকারডুবির ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ডিজেল বিক্রিতে লোকসানের কথা উল্লেখ করে বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ডিজেল বিক্রি করে বিপিসি এখনো প্রতি লিটারে ২-৩ টাকা লোকসান করছে। পেট্রল ও অকটেন বিক্রিতে অবশ্য লাভ করছে। এ কারণে জ্বালানি তেলের দাম আপাতত কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
এবিএম আজাদ বলেন, ‘পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১০৩ ডলার থাকলে আমরা ব্রেক ইভেনে থাকি। কিন্তু এর বেশি হলেই লোকসান হয়।’
গত নভেম্বরে গড়ে ব্যারেলপ্রতি পরিশোধিত ডিজেলের দাম ১০৫ ডলার ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো আমাদের প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রিতে ২-৩ টাকা লোকসান হচ্ছে। গত নভেম্বরে অকটেন, পেট্রলসহ অন্যান্য তেল বিক্রি করে মুনাফা হয়েছে ১৯০ কোটি টাকা। কিন্তু একই সময়ে ডিজেলে লোকসান হয়েছে ২৩৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত মাসে জ্বালানি তেল বিক্রি করে মোট ৪৩ কোটি টাকা লোকসান করেছে বিপিসি।
তেলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনা নিয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাইপের মাধ্যমে কিছু তেল উদ্ধার করা হয়েছে। এতে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়েনি। বর্তমানে ট্যাংকারটির পেছনের অংশ ডুবে আছে। তবে ট্যাংকার থেকে কোনো তেল ছড়িয়ে পড়ছে না।
ভোলায় তেলের ট্যাংকারডুবিতে পরিবেশ দূষণের কোনো শঙ্কা নেই জানিয়ে এবিএম আজাদ বলেন, ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে দুটি কমিটি। ট্যাংকারে আনুমানিক ১০টি চেম্বার ছিল। এর মধ্যে একটি চেম্বার সম্ভবত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেখান থেকে কিছু তেল মেঘনায় ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিমাণ আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজার লিটারের বেশি নয়। এর মধ্যে আবার কিছু তেল স্থানীয়ভাবে উদ্ধার করা হয়েছে।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | কর্পোরেট সংবাদ সম্পাদক - মোঃ মিজানুর রহমান । উপদেষ্টা সম্পাদক- জেসমিন আক্তার, এফসিএস ই-মেইলঃ corporatesangbad@gmail.com । ফোনঃ ০২২২-৩৩৫৪১২৫ । মোবাইলঃ ০১৭১১০৭৬৮১৫ অফিসঃ ৫৫/বি, নোয়াখালী টাওয়ার, ১১ তলা, সুইট ১১-এফ, পুরানা পল্টন, ঢাকা ১০০০ |
১০ মাসে তেল বিক্রিতে বিপিসির লোকসান ৯ হাজার কোটি টাকা https://corporatesangbad.com/1348/ |