সাতক্ষীরা ভিসা অফিস এলাকায় সক্রিয় প্রতারক চক্র, হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ

Posted on February 10, 2023

শহীদুজ্জামান শিমুল, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা শহরের ভারতীয় ভিসা অফিস এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে কয়েকটি প্রতারক চক্র। কৌশলে মানুষকে বোকা বানিয়ে চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। ভিসার জন্য জমা দিতে আসা সহজ-সরল লোকদের বোকা বানিয়ে, ধোঁকা দিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন ও টাকা। ভিসা অফিস এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সেবা প্রার্থীরা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ভিসার আবেদনের জন্য অফিস সংলগ্ন আফিয়া এন্টারপ্রাইজে উপস্থিত হন মতিউর রহমান গাজী।

তিনি বলেন, আমার এবং আমার ছেলে মনজুরুল ইসলামের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দোকানদারের কাছে জমা দিয়ে আবেদন করি। এ সময় দোকান থেকে একজন লোক আমার মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে ভিতরে যেতে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমি ভিসা অফিসে আবেদন জমা দিয়ে বাহিরে এসে ফোন অন করে জানতে পারি, কে একজন আমার ছেলে মনজুরুল কে ফোন করে বলে আপনার আব্বা ভিসা জমা দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় ইঞ্জিন ভ্যানের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগেছে, আমরা ইঞ্জিন ভ্যান ও চালককে আটক করে আপনার আব্বাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেছি, মাথার সিটি স্ক্যানিং করানো হচ্ছে আপনি এখনই বিকাশ করে ২ হাজার টাকা পাঠান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান গাজীর ছেলে মনজুর ইসলাম জানান, আমি বাগেরহাটের  মোংলাতে বসুন্ধরা কোম্পানিতে চাকরি করি। হঠাৎ আমার কাছে ফোন করে আব্বার অ্যাক্সিডেন্টের কথা জানিয়ে টাকা চাইলে আমি অফিসে থাকার কারনে ১৫ মিনিট সময় নেই। তার ভিতরে ইন্ডিয়া থেকে আমার বোন আমেনা খাতুন ফোন করে বলে আব্বার খোঁজ পেয়েছি, আব্বার কিছু হয়নি। ইতিমধ্যে আব্বার অ্যাক্সিডেন্টের কথা শুনে সবাই অনেক টেনশন করে এবং আমার ভাগ্নে আশিক প্রতাপনগর থেকে সাতক্ষীরায় রওনা দেয়।
 
আফিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশীদ শাওন জানান, আমার দোকানের কেউই না, এটা একটি প্রতারকচক্র। বেশ কিছুদিন ধরে চক্রটি সাধারণ মানুষদের হয়রানি করছে।

ভিসা অফিস সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী পলাশ মন্ডল বলেন, তিন দিন আগে এক নারীর কাছ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র, এছাড়াও গত ৮-৯ দিন আগে আরেকজন নারীর কাছ থেকে প্রতারক চক্রটি ২ হাজার ১০০ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। তিনি বলেন, ভিসা অফিস এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানার, এ বিষয়ে আমাদের জানা নেই, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।