পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন যোগাচ্ছে কক্সবাজারের শিল্প ও বাণিজ্য মেলা

Posted on February 8, 2023

মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, প্রাণ প্রকৃতি, সুউচ্চ পাহাড়, পাহাড়ীঝর্ণা, সমুদ্রের নীলাজল, ইট পাথরের অট্রালিকা, পিচঢালা নান্দনিক মেরিন ড্রাইভ সড়ক, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অসংখ্য প্রাচীন বৌদ্ধমূর্তি, হাজার বছরের পুরনো দেবাদিদেব মহাদেবের পুর্ন্যভূমি মৈনাক পর্বত চূড়ায় অবস্থিত আদিনাথ মন্দির, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে বীচ ইনানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারীপার্কসহ অসংখ্য পর্যটন বিনোদন কেন্দ্র দেশী বিদেশি পর্যটকের বিমোহিত করছে। কি নেই এখানে? এসব কিছু দেখতে ও প্রকৃতিকে কাছে থেকে উপভোগ করতে অবিরাম ছুটে আসছে কক্সবাজারে দৈনন্দিন লাখো পর্যটক। কেউ দলবেঁধে, কেউ একা আবার কেউ আসছে পরিবার পরিজন নিয়ে। তারপর ও রাতের কক্সবাজার থাকে নীরব নিস্তব্ধ।

হোটেলের চার দেয়ালে আবদ্ধ থাকতে হয় পর্যটকদের। সেই নিস্তব্ধতার গ্যাড়াকল থেকে পর্যটকদের আনাগোনায় মূখরিত করতে প্রতিবছর প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় চেম্বার অফ কমার্সসহ একাধিক সংগঠন মিলে আয়োজনের মাধ্যমে পুরো মৌসুম জুড়ে চলে শিল্প ও বানিজ্যমেলা। রাতের কক্সবাজারকে আলোকিত করে পর্যটকসহ স্থানীয়দের বাড়তি বিনোদনের একমাত্র ঠিকানা হয়ে উঠেছে এই মেলা। তাই রাতের বিনোদনে কোনো স্থায়ী আয়োজন এখনো হয়ে ওঠেনি। নেই বিদেশিদের জন্য এক্সক্লূসিভ জোন।

কক্সবাজার শিল্প ও বাণিজ্যমেলা স্থানীয় ভ্রমণপিয়াসী ও আগত পর্যটকদের রাতের বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঝাউবাগান ঘেরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন পর্যটন গলফ মাঠে চলমান শিল্প ও বাণিজ্যমেলায় গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটাসহ নানা বিনোদনে নারী, পুরুষ ও শিশুদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত থাকে মেলাঙ্গন।

ঢাকা থেকে শিমুল মুখার্জি এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজার। সারাদিন বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে ও তাদের মন ভরেনি।সন্ধারপর সবাই কে নিয়ে ছুটে আসেন মেলায়। শিমুল বলেন, এটা-সেটা কেনাকাটা, বিভিন্ন রাইডে চড়া, খাওয়ার মধ্যে কখন যে তিন ঘণ্টা কেটে গেলো বুঝতেই পারিনি।

দুপুরের পর স্থানীয়দের আনাগোনায় মূখর থাকে মেলা প্রাঙ্গন। মেলায় আসা শিক্ষার্থী তোসার অনি,মুক্তা সানি রাহেলা, রিয়াজ,কুসুম জানান, নৌকা, দোলনা, নাগরদোলা, ফাইভার ইলেকট্রিক চর্কি ও মিনি হাতি-ঘোড়ায় চড়ে প্রচুর আনন্দ পেয়েছি। দেখেছি জাদু প্রদর্শনীও।

শিশুদের বিনোদনের জন্য মেট্রোরেলসহ ওয়াটার স্পিডবোট, জাম্পিং বেলুন, ওয়াটার বলে শিশুদের নিয়ে ভিড় করেছেন মায়েরা। নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের স্বাদ নিচ্ছেন সবাই।